header



প্রয়াত নেতা নাসিম স্মরণে ডাবলিন আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা ও দোয়া


ছবি: প্রয়াত নেতা আলহাজ মোহাম্মদ নাসিম


গতকাল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা প্রয়াত আলহাজ মোহাম্মদ নাসিম স্মরণে ডাবলিন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ডিজিটাল প্লাটফর্ম জুম এ এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডাবলিন আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব ফিরোজ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক অলক সরকার। অনুষ্ঠানের শুরুতে মহা দুর্যোগ করোনায় প্রয়াত সকল বিদেহী আত্মার প্রতি সম্মাননা প্রদর্শন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ অধ্যাপক ডাঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না জননেতা নাসিম সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করে বলেন নাসিম সাহেবের মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে আওয়ামী লীগ একজন বলিষ্ঠ, দৃঢ়চেতা ও জনদরদী নেতা এবং সিরাজগঞ্জ হারালো তাদের প্রাণপ্রিয় সিংহ পুরুষকে। ওনার এই অভাব শত বৎসরেও পূরণ হবার নয়। তিনি আমাদের সকলের মাঝে বেঁচে থাকবেন।

ছবি: ডাবলিন আওয়ামীলীগ ও বিভিন্ন দেশ থেকে অংশগ্রহণকারী নেতৃবৃন্দ


প্রয়াত নাসিম ভাইয়ের আস্থাভাজন ও ওনার সান্নিধ্যে আসা ঢাকা কলেজের ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আল আমিন নাসিম ভাই সম্পর্কে বলেন জনদরদী এই নেতা হাসপাতালের শয্যায় থেকেও মানুষের জন্য কাজ করেছেন। তিনি নির্দেশ দিতেন কোথায় কি করতে হবে।আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকাবস্থায় আন্দোলন সংগ্রামে নাসিম ভাই ছিলেন অগ্রদূত। এই নেতা শুধু সিরাজগঞ্জ জেলাতেই সীমাবদ্ধ থাকেননি তিনি সারা দেশ জুড়ে দেশের মানুষের জন্য কাজ করেছেন।

জার্মানির বাংলাদেশ হাইকমিশনের অনারারি কনস্যুলার ইঞ্জিনিয়ার হাসনাত মিয়া জানান নাসিম সাহেবের পরিবার সেই স্বাধীনতা লগ্ন থেকে-ই দেশপ্রেমে উজ্জীবিত। বংশ পরম্পরায় নাসিম সাহেবও দেশের প্রতি আনুগত্য থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনার পাশে থেকে দলকে দু:সময়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বাংলাদেশ একজন দেশপ্রেমিক নেতা হারিয়েছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাংলাদেশ যুবলীগের সাবেক আন্তর্জাতিক সম্পাদক ডক্টর সাজ্জাদ হায়দার বলেন, আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকাকালে এমন কোনো মিটিং-মিছিল ছিল না যেখানে নাসিম ভাই ছিল না। প্রতিটি মিছিল মিটিংয়ে তিনি সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিতেন। ওই সময়ের সরকারী দল দ্বারা নিগৃহীত হওয়া স্বত্তেও তিনি পিছু হটেন নি।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বাহাদুর বেপারী বলেন নেতা ও বক্তা হিসাবে শ্রদ্ধেয় নাসিম ভাই ছিলেন অদ্বিতীয়। তাদের সময়ে ছাত্রলীগের যেকোনো অনুষ্ঠানে তিনি চলে আসতেন প্রধান অতিথি হয়ে অথবা মূল বক্তা হিসেবে। জননেত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন এই নেতা করিৎকর্মা ছিলেন তাই তিনি দলের অনেক গুরু দায়িত্ব পালন করেছেন।

ছবি: আলোচনায় বিভিন্ন দেশ থেকে অংশগ্রহণকারী নেতৃবৃন্দ


অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ময়মনসিং-৭, ত্রিশাল এলাকার সাংসদ এবং ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাফেজ রুহুল আমিন মাদানী ওনার বক্তব্যে নাসিম ভাই সম্পর্কে বলেন একজন মেধাবী ও সাহসী নেতা নাসিম ভাই যেকোনো গুরুদায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতেন। তার মেধা ও গুণাবলীর জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা তাকে ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্রের দায়িত্ব দিয়েছিলেন এবং তিনি তার উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেছিলেন। ওনার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একজন তারকা নেতা হারালো।

প্রধান অতিথির বক্তব্যের পর আওয়ামী লীগের সকল প্রয়াত নেতাদের স্মরণে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও দেশবাসীর জন্য দোয়া কামনা করা হয়।

অনুষ্ঠানের শেষে ডাবলিন আওয়ামী লীগ ও উপস্থিত সকলের পক্ষ থেকে রুহুল আমিন মাদানী ভাইকে আগামীতে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও হাবিবে মিল্লাত ভাইকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা বরাবর অনুরোধ করা হয়।

উপস্থিত সকলে আশা প্রকাশ করেন এই পরিবর্তন হলে দল ও জনগণ উভয়েই উপকৃত হবেন।

উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, ডাবলিন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মাসুদ শিকদার, শাহাদাত হোসেন, আব্দুল বাসেত কিবরিয়া, নানু আলী খান, সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান লিঙ্কন, দিপু ফিরোজ, টিটু খন্দকার, মোহাম্মদ সুমন, সাইফুর রহমান বাবলু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ খন্দকার, সাইফুল ইসলাম রবিন, সাংগঠনিক সম্পাদক সমীর কুমার ধর ও দিলদার হোসেন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মুন্না সৈকত, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক নাসির আহমেদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক খাইরুল ইসলাম পায়েল, সহ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ খালেক, দপ্তর সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক শিশির ইসলাম।

আয়ারল্যান্ড আওয়ামী লীগ থেকে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সভাপতি মোনায়েম খন্দকার রানা, সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদক রফিক খান ও জসিম উদ্দিন আহমেদ, সাবেক সহ-সভাপতি স্বপন দেওয়ান, নজরুল ইসলাম মানিক।

আয়ারল্যান্ড বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি ফয়জুল্লাহ শিকদার, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান নান্না।

আয়ারল্যান্ডের বাংলাদেশী কমিউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ।

কাউন্টি ওফেলি আওয়ামী লীগ থেকে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি মামুনুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান শুভ্র, সহ-সভাপতি দেবেশ কর্মকার, দপ্তর সম্পাদক তামান্না ফারিয়া।

কাউন্টি কর্ক আওয়ামী লীগ থেকে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি সানোয়ার হোসেন

কাউন্টি লিমেরিক আওয়ামী লীগ থেকে উপস্থিত ছিলেন সাবেক উপদেষ্টা সাজেদুল চৌধুরী রুবেল ও জাহাঙ্গীর আলম।

কাউন্টি গলওয়ে থেকে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতা ডাঃ বদরুল ইসলাম।

কাউন্টি ওয়েক্সফোর্ড থেকে উপস্থিত ছিলেন সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা আরমান কাজী।

উপস্থিত ছিলেন, আয়ারল্যান্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক এ আর নয়ন। আয়ারল্যান্ড ছাত্রলীগ সভাপতি নোমান চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক রিব্বী ইসলাম।

ইউরোপের বিভিন্ন দেশের আওয়ামী লীগ থেকে উপস্থিত ছিলেন ডেনমার্ক আওয়ামী লীগের সভাপতি লিঙ্কন মোল্লা, পর্তুগাল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত ওসমান, সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান মোল্লা, গ্রীস আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলমগীর হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রোকন উদ্দিন, স্পেন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শাকিল খান পান্না ও বর্তমান সভাপতি বোরহান উদ্দিন, ইংল্যান্ডের বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক খোকন হায়দার, জার্মান আওয়ামীলীগের নেতা সেলিম ভূঁইয়া।





      

[ সংবাদটি পড়া হয়েছে : 2 বার ]






Published on: 01/07/2020